![]() |
| চেয়ারম্যানকে আটকে রেখে পাওনা টাকা আদায়! |
কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলা চত্ত্বরে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে আটকে রেখে একই পরিষদের মেম্বাররা তাদের পাওনা টাকা আদায় করার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা পরিষদ ভবনের সমানে পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে মেম্বারদের সঙ্গে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বাকবিতণ্ডা এমনকী ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি উত্তেজনার সৃষ্টি হলে অন্য দুই পরিষদের চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে সমঝোতা হয়। তবে মেম্বারদের পাওনা টাকা ওই সময়ে পরিশোধ করতে বাধ্য হয় অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আনু। আজ বৃহষ্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ওই ঘটনা ঘটে উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের মাঝে।
রাজীবপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুর-ই শাহী ফুল ও কোদালকাটি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত বিরোধে জড়িয়ে পড়া মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে নিয়ে রাজীবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে বৈঠক করা হয়। এতে মেম্বারদের নামের প্রকল্পের টাকা ব্যাংক উত্তোলন করেছেন চেয়ারম্যান। বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আনু। বৈঠকে উত্তেজিত পাওনাদার মেম্বারদের পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হয়। এতে প্রতি মেম্বারের ৮০ হাজার টাকার মধ্যে ৭০ হাজার টাকা করে পরিশোধ করে রক্ষা পান চেয়ারম্যান। পরে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের মাঝে বিরোধের মিমাংসাও করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ ও সংরক্ষিত মহিলা ১২ সদস্যের অভিযোগে জানা গেছে, চলতি (২০১৫-২০১৬) অর্থ বছরে ইউনিয়ন পরিষদের (স্থানীয় সরকার) অধিনে এলজিএসপি-১ (লোকাল গর্ভন্যান্স)’তে প্রায় ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই কর্মসূচীর আওতায় ১২জন মেম্বার ১২টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। প্রতিটি প্রকল্প ৮০ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রকল্পের কাজ শেষ করে মেম্বাররা বরাদ্দকৃৃত টাকার বিল করার জন্য চেয়ারম্যান ও পরিষদের সচিবকে আবেদন করে। কিন্তু তারা নানা তালবাহানা শুরু করে। মেম্বারদের নামের প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ চেয়ারম্যান সচিব ৭দিন আগে ব্যাংক থেকে উত্তোলনের বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে মেম্বাররা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। আর ওই টাকার জন্যই চেয়ারম্যানকে আটকে রাখে মেম্বাররা।
মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আসাদ মিয়া, আব্দুল হক, মাইদুল ইসলাম অভিযাগ করেন, চেয়ারম্যান আমাদের অভিভাবক। আর সেই চেয়ারম্যানই জালিয়াতি কসরে আমাদের নামের প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করে। আমরা সবাই বিক্ষুদ্ধ হয়ে যখন তাকে ঘিরে ধরে টাকা চাইলাম তখনও টালবাহানা করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান টাকা দিতে বাধ্য হয়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মোহনগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, ‘মেম্বাররা না বুঝে হাঙ্গামা করেছে। তাদের নামের প্রকল্পের টাকা আমি ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেছি এটা সত্য। কিন্তু আমি তো তাদের টাকা মেরে খাইনি। আমি টাকা তাদেরকে পরে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু তারা মানেননি।’

No comments:
Post a Comment