Showing posts with label জাতীয়. Show all posts
Showing posts with label জাতীয়. Show all posts

Tuesday 5 April 2016

রৌমারী ও রাজীবপুরে ওপেন হাউজ ডে ।

রৌমারী ও রাজীবপুরে ওপেন হাউজ ডে

কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলায় পৃথকভাবে কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর ২টার দিকে রৌমারী থানা পুলিশ হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত থাকেন কুড়িগ্রাম এএসপি (বি-সার্কেল) মনিরুজ্জামান। থানার ওসি এ বি এম সাজেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওপেন হাউজ ডে-তে এলাকাবাসী ও সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন



'পুলিশ জনগণের সেবক ও বিপদের বন্ধু'- এ বিষয়টি আরো কার্যকর করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন জেলা পুলিশিং কমিটির আহ্বায়ক সাংবাদিক শফি খান, সদস্য সচিব রাশেদুল ইসলাম বাবু, এএসপি মনিরুজ্জামান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী, উপজেলা আহ্বায়ক সামিউল ইসলাম জীবন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি জাকির হোসেন, শহীদুল ইসলাম সালু, হারুন-অর রশীদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল কাদের, ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক প্রমুখ।

এর আগে সকাল ১১টার দিকে রাজীবপুর থানা পুলিশ হলরুমে একই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বিষয়ে স্থানীয়রা মতামত প্রদান করেন। একই সঙ্গে মাদকমুক্ত উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে পুলিশকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এলাকাবাসী।


অবশেষে ৬০ হাজার টাকায় মুক্ত হলো শিশু রুমন ।

অবশেষে ৬০ হাজার টাকায় মুক্ত হলো শিশু রুমন

অবশেষে ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করে চার দিন জিম্মি থাকার পর পাওনাদারের কাছ থেকে মুক্ত করা হয়েছে ছয় বছর বয়সী রুমন মিয়াকে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মুক্তি দেওয়ার পর শিশুটিকে নিয়ে নিজের বাড়িতে ফেরেন তার বাবা-মা। এর আগে পাওনা সাড়ে ১০ হাজার টাকার জন্য কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার বেপারীপাড়া গ্রাম থেকে কৌশলে শিশুটিকে তুলে নিয়ে গাইবান্ধা জেলার দক্ষিণ কঞ্চিপাড়া গ্রামের অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখে পাওনাদার মুন্নাফ আলী (৪৫) নামের এক ব্যক্তি।
অভিযোগে জানা গেছে, শিশুটিকে জিম্মি করে সাড়ে ১০ হাজার টাকার সঙ্গে আরো ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। ওই টাকা না দিলে শিশুটিকে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে নির্যাতিত পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। তাছাড়া শিশুকে জিম্মি করে অর্থ আদায় সংক্রান্ত সংবাদ গতকাল বৃহস্পতিবার দৈনিক কালের কণ্ঠ অনলাইনসহ প্রিন্ট সংস্করণে প্রকাশিত হয়।
কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার বেপারীপাড়া গ্রামের আবু সায়েদ আলীর ছেলে রুমন মিয়াকে গত সোমবার সকালে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চার দিন ধরে শিশুটিকে জিম্মি করে ওই অর্থ আদায় করে নেওয়া হয়। এ সময় শিশুটির বাবার কাছ থেকে দেড় শ টাকার সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরও নেওয়া হয়। পাওনাদারের চাহিদা মতো টাকা পরিশোধ করে শিশুটিকে উদ্ধার করার পর আজ শুক্রবার আবু সায়েদ আলী অভিযুক্ত মুন্নাফ আলীকে আসামি করে রাজীবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।
নিরপরাধ শিশুটিকে তুলে জিম্মি করে রাখা পাওনাদার মুন্নাফ আলীর বাড়ি গাইবান্দা জেলার ফুলছড়ি থানার অধীনে দক্ষিণ কঞ্চিপাড়া গ্রামে। এর আগে মুন্নাফ আলী আবু সায়েদ আলীর সঙ্গে সীমান্ত হাট পণ্যসামগ্রী আদান প্রদানের ব্যবসা করতেন। আর ওই ব্যবসার সাড়ে ১০ হাজার টাকা পাওনা ছিল আবু সায়েদ আলীর কাছে। যা গত ছয় মাসেও পরিশোধ করতে পারেননি বলে জানা গেছে।
রাজীবপুর থানার ওসি ক্রিথিস কুমার অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, ওই ঘটনায় তদন্ত করা হয়েছে। গাইবাদ্ধার ওই মুন্নাফ আলীর বিষয়ে জানার জন্য এবং তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা মোকদ্দমা রয়েছে কিনা এমন তথ্যের সংশ্লিষ্ট থানায় আবেদন পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।