Showing posts with label নির্বাচন. Show all posts
Showing posts with label নির্বাচন. Show all posts

Friday 8 April 2016

রাজিবপুরে নির্বাচনের দাবীতে গণমিছিল




কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দাবীতে ৩টি ইউনিয়নের, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দাবীতে গত বৃহস্পতিবার গনমিছিল করেছে এলাকাবাসি। বিকেল ৫ টার দিকে রাজিবপুর সদর, কোদালকাটি ও মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের সাধারন জনগন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবীতে বিক্ষোপ মিছিল করে। মিছিল শেষে স্থানীয় থানা মোড় চত্তরে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক শফিউল আলম, সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি সিরাজ-উদ-দৌলা, সাধারন সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, যুবলীগ সভাপতি আজিবর রহমান মাষ্টার, সাধারন সম্পাদক আতিয়ার রহমান সোহাগ, হুমায়ুন কবির ছক্কু, কামরম্নল আলম বাদল, ছাত্রলীগ সভাপতি আশরাফুল ইসলাম বাবু, আব্দুল মান্নান প্রমুখ। উলেস্নখ্য রাজিবপুর উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়ার সকল প্রসত্মতি সম্পন্ন হলে তিনটি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সীমানা সংক্রামত্ম জটিলতার অজুহাত দেখিয়ে তা স্থগিতের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে রিট করে। গত ১৩ মার্চ শুনানি শেষে, রাজিবপুর সদর, কোদালকাটি ও মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আদালতের নির্দেশে স্থগিত হয়ে যায়। সংবাদটি দ্রম্নত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাধারন মানুষের মধ্যেতীব্র ক্ষোপের সৃষ্টি হয় এবং বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানদের বিরম্নদ্ধে বিক্ষোপ প্রদর্শন করে এবং তাদেরকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য আহববান করেন।

রাজীবপুরে নির্বাচনী সহিংসতা ছাত্রলীগ নেতার আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ



কুড়িগ্রামের রাজীবপুরের কোদালকাটি বাজারে তোতা মিয়া নামে এক মেম্বার প্রার্থীর ভাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক টুলু মিয়ার (২২) বাম হাতের আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভোট চাওয়ায় একই ওয়ার্ডের অন্য মেম্বার প্রার্থী পাপু মিয়ার দুই ছেলে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কোদালকাটি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে আহত টুলু মিয়ার ভাই শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে রাজীবপুর থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ওই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই মামলা রেকর্ড করে লাল মিয়া (২৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থী ও সমর্থকদের মাঝে চরম উত্তেজনা রিরাজ করছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে ঘটনাটি দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের হলেও থানায় আসামি করা হয়েছে বিএনপির লোকজনদের বিরুদ্ধে। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে বিএনপি নেতাদের মদদে ওই ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা গেছে, কোদালকাটি ইউনিয়নের সাজাই খয়রাত মেম্বার পাড়ার ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী হলেন জাতীয় পার্টি সমর্থক পাপু মিয়া (ফুটবল প্রতীক) এবং কোদালকাটি ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক তোতা মিয়া (মোড়ক প্রতীক) সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ঘটনার দিন তোতা মিয়ার ভাই ছাত্রলীগ নেতা টুলু মিয়ার তার ভাইয়ের পক্ষে ও নৌকা মার্কায় ভোট চাচ্ছিলেন। এ সময় মেম্বার প্রার্থী পাপু মিয়ার দুই ছেলে শাহীনুর রহমান ও শাহজাদা মিয়া রামদা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে টুলু মিয়ার বাম হাতের একটি আঙুল বিচ্ছিন্ন করে নেওয়া হয়েছে। শাহীনুর ও শাহজাদা দুজনই ছাত্রদলের সদস্য বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে কোদালকাটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হুমায়ুন কবির ছক্কু অভিযোগ করে বলেন, "ঘটনার আগ মুহূর্তে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিএনপি নেতারা উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এরপরই ছাত্রদলের দুই কর্মী ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলা করে। এ ঘটনা পরিকল্পিত এবং উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়িত রয়েছে।"

অপরদিকে, উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান জানান, ঘটনাটি দুই মেম্বার প্রার্থীর নিজেদের মধ্যে ঘটেছে। অথচ বিষয়টি অতিরঞ্জিত করে অন্যায়ভাবে বিএনপির নেতাকর্মী ও প্রার্থীকে জড়ানো হয়েছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে পাঁচ বিএনপিকর্মী ও প্রার্থীর নাম জড়ানো হয়েছে। যাতে নির্বাচনী মাঠে আমরা না থাকতে পারি। রাজীবপুর থানার ওসি প্রীতুষ কুমার জানান, ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

কোদালকাটি ইউপি নির্বাচন নৌকায় ভোট না দিলে মামলার হুমকি




কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট না দিলে মামলার হুমকি দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। সরেজমিনে গেলে বিএনপি প্রার্থীর কর্মীরা এ অভিযোগ করেন।


কোদালকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাকিম মাস্টার অভিযোগ করেন, সম্প্রতি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) প্রার্থী জাতীয় পার্টির পাপু মিয়া ও আওয়ামী লীগের তোতা মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এখানে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়। অথচ বিএনপির প্রার্থীকে নানাভাবে হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ভয়ে বিএনপির প্রার্থীর কর্মীরা গ্রামে গ্রামে ভোট চাওয়ার জন্য যেতে পারছে না। তাদের ভয়, থানায় অজ্ঞাত ৩০ জন আসামির মধ্যে ফাঁসিয়ে দেওয়া হতে পারে।


বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী ছবের উদ্দিন বলেন, ‘আমার কর্মীরা এখন আতঙ্কে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও কর্মীদের ভয়ে আমরা প্রচার করতে পারছি না। কর্মীদের মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হুমায়ুন কবির।’


সরেজমিনে গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি প্রার্থীর এক কর্মী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির ছক্কু বাজারে বলে বেড়াচ্ছেন, আমাকে ভোট দেবে না, যারা বিএনপির পক্ষে কাজ করবে তাদের মামলায় ফাঁসিয়ে দেব। এ কারণে মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়নি। আমি যাকে ইচ্ছা তাকে ওই অজ্ঞাতদের মধ্যে ঢুকিয়ে দেব।’


এ বিষয়ে কোদালকাটি ইউপির আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির ছক্কু বলেন, ‘আপনি যেসব অভিযোগের কথা বলছেন, তা সত্য নয়। বরং ছাত্রদলের কর্মীরা আমার কর্মীকে কুপিয়ে আহত করেছে। তার হাতের আঙুল কেটে নিয়েছে।’



রাজীবপুর ইউপি নির্বাচন একই ওয়ার্ডে ৩ ভাই-বোনের ভোট যুদ্ধ

রাজীবপুর ইউপি নির্বাচন একই ওয়ার্ডে ৩ ভাই-বোনের ভোট যুদ্ধ
কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একই পরিবারের দুই সহোদর ভাই ও এক বোন একই ওয়ার্ডে প্রার্থী হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য পদে বড় ভাই পর্বত আলী (মোড়ক) ও ছোট ভাই আমির আলী (তালা) এবং একই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে বোন ফরিদা ইয়াছমিন(তালগাছ) প্রচারণায় মেতে উঠেছেন। তিন জনেই নিজেদের পক্ষে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভোট প্রার্থনা করছেন। এক ভাই ভোট প্রার্থনা শেষ না করতেই ছোট ভাই হাজির ভোটের জন্য। এমন ভোট প্রার্থনায় ভোটারদের মাঝেও কৌতুলের সৃষ্টি করেছে।

উপজেলার ধুলাউড়ি গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের পুত্র তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ধুলাউড়ি গ্রামের এক ভোটার বলেন, এক ভাই ভোট চেয়ে বাড়ি থেকে যেতে না যেতেই আরেক ভাই হাজির ভোট চাইতে। সব ভোট তাগরেই দিমু আর মানুষের ইচ্ছা নাই? আমরা এক বাড়িতে সব ভোট দিতে পারি না। আরেক ভোটার বলেন, তারা তিন ভাই-বোন তো আছেনই। একই ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীও তাদের নিকট আত্মীয়।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে ওই দুই সহোদর ভাই ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে বোন ফরিদা ইয়াছমিন প্রার্থী একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বড় ভাই পর্বত আলী বলেন, আমি বাড়ির বড় সন্তান। আমি র্নিবাচনে দাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছি অনেক আগেই। এরপর হঠাৎ করে ছোট ভাই আমির আলী কয় আমিও নির্বাচনে দাড়াব। তাকে নিষেধ করেছি কিন্তু সে মানে না। আর বোনের বিষয়টি আলাদা।

ছোট ভাই আমীর আলী বলেন, আপন ভাই হইলে কি হবে। আমরা তো এখন পৃথক সংসার করছি।

বোন ফরিদা ইয়াছমিন বলেন,আমার পদ সংরক্ষিত। এখানে পুরুষরা অংশ নিতে পারব না।

এদিকে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুছ জানান, আগামি ৩১ মার্চ নির্বাচনের কথা থাকলেও আদালতে মামলার ঝামেলা থাকায় ঘোষিত তারিখে নির্বাচন নিয়ে সংশয় রয়েছে।

Tuesday 5 April 2016

ইউপি নির্বাচন স্থগিতাদেশে রাজীবপুরে বিক্ষোভ, সমাবেশ অব্যাহত ।

ইউপি নির্বাচন স্থগিতাদেশে রাজীবপুরে বিক্ষোভ, সমাবেশ অব্যাহত

কুড়িগ্রামের রাজীবপুরের ৩ ইউনিয়নের সাধারণ নির্বাচন স্থগিতাদেশে এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সোমবারের মতো আজ মঙ্গলবারও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের দাবিতে এলাকাবাসি ওই বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বলে জানা গেছে।

আজ মঙ্গলবার রাজীবপুর শহরে নাগরিক কমিটির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে থানা মোড় চত্বরে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া, কামরুল আলম বাদল, মেম্বার প্রার্থী, নুর আলম ও নাগরিক কমিটির সদস্য মুরাদ জং। একই সময়ে উত্তর কোদালকাটি ও বালিয়ামারী বাজারেও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে নির্বাচনের প্রার্থীর লোকজন। এর আগের দিন সোমবারও রাজীবপুরে, নয়াচর বাজারে ও কোদালকাটি বাজারে বিক্ষোভ, সমাবেশ করা হয়।

প্রসঙ্গত, আগামি ৩১ মার্চ উপজেলার তিন ইউনিয়নের সাধরণ নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্ট। সীমানা সংক্রান্ত জটিলতায় পৃথক ৩টি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের ২১ নম্বর বেঞ্চ স্থগিতাদেশ দেয়। এর আগে গত ২ মার্চ তিন ইউনিয়নের সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করে। প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই ও প্রতীক বরাদ্দ কার্যক্রমও সম্পন্ন করে প্রশাসন। এতে তিন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১২জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ৫১জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৯৮জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।



Sunday 3 April 2016

৩নং মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী…


৩নং মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে,
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত,
জনাব মো:আ:বারী সরকার-কে
"নৌকা" মার্কায় ভোট দিয়ে ইউনিয়নের উন্নয়ন করার সুযোগ দিন।

প্রচারে: মোহনগঞ্জ ছাত্রলীগ।