Tuesday 5 April 2016

ভালো নেই তারামন বিবি ।

ভালো নেই তারামন বিবি 
মুক্তিযুদ্ধে বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত তারামন বিবি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দীর্ঘদিনের শ্বাসকষ্ট আর কাশি বেড়ে গেছে। তার ওপর যোগ হয়েছে মাথা ও পিঠ ব্যথা। বলতে গেলে তিনি এখন অচল। নিজে নিজে হাঁটাচলা করতে পারছেন না গত সাত দিন ধরে। বিছানার পাশেই অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখা হয়েছে। যখন শ্বাস নিতে পারেন না তখন অক্সিজেনের সহযোগিতা নিচ্ছেন। দিনরাত অন্তত ১০ বার করে অক্সিজেনের সহযোগিতা নিচ্ছে হচ্ছে তাঁকে। আজ সোমবার বাড়িতে গিয়ে তারামন বিবি ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।

তারামন বিবি বলেন, "মাঝে মাঝে মনে হয় আমার সময় শেষ হয়ে আসছে। শরীরের যা অবস্থা। শ্বাস নিতে পারি না। যখন কাশি ওঠে মনে হয় দুনিয়াত আর নেই আমি। মাথা ব্যথা করে। সারা পিঠ যেন জ্বলে। উঠে দাঁড়াতে পারলেও হাঁটতে পারি না। গত ক'দিন থেকে খুবই কষ্টের মধ্যে বেঁচে আছি। তিনবেলা ওষুধ খাওয়ার পরও অসুখের কোনো উন্নতি দেখছি না।"

তিনি বলেন, "রংপুর সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) কর্তৃপক্ষকে অসুখের কথা জানানো হয়েছে। তাঁরা আমাকে যেতে বলছেন। কিন্তু ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে রংপুরে যাওয়াটাই আমার কষ্ট। যোগাযোগব্যবস্থা ভালো নয়। এর আগে পুরো জানুয়ারি মাস ওই হাসপাতালে ছিলাম। কিছুটা সুস্থতা অনুভব করলাম, তারপর ৩১ জানুয়ারি বাড়ি আসছি। গত সাত দিন থেকে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট আর কাশি বেড়ে গেছে যা সহ্য করতে পারছি না।"

জানা গেছে, অসুস্থ তারামন বিবিকে চিকিৎসা দিচ্ছেন ও নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাকরা। হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, "বর্তমানে তাঁর শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশিটা অনেক বেড়ে গেছে। আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছি। হাসপাতালের অক্সিজেন সিলিন্ডার উনার বাড়িতে দিয়েছি। যখন শ্বাসকষ্ট দেখা দেবে তখন অক্সিজেনের সহযোগিতা নেবেন। তা ছাড়া ফোন করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ছুটে যাই তাঁর বাড়িতে। সব মিলে তাঁর অবস্থা খুব একটা ভালো নয়।"

কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার কাচারীপাড়া গ্রামে বসবাস করেন তারামন বিবি। তাঁর স্বামী আব্দুল মজিদ বলেন, "রাজীবপুর হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রতিদিন একবার করে বাড়িতে এসে চিকিৎসা প্রদান করছেন। বর্তমানে তাঁর শরীরের যে অবস্থা তা এর আগে হয়নি। দিনরাত বিছানায় শুয়ে বসে অবস্থান করছে। বিছানা থেকে তাঁকে ধরে উঠানামা করাতে হচ্ছে।"

No comments:

Post a Comment